বারের সিকিউরিটি গার্ড পারভীন বলেন, ‘ডিউটিতে থাকা অবস্থায় বারের মধ্যে দুই গ্রুপের হাতাহাতি হয়। তখন বারের লোকজন মীমাংসা করে দেয়। এরপর এক গ্রুপের লোকজন বাইরে থেকে আরও লোকজন নিয়ে এসে বারে হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে গেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছি।’
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকাশ্যেই থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করে এই বার চালানো হচ্ছে। কিশোর-কিশোরীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ বারে গিয়ে নিয়মিত মদ পান করে। প্রতিনিয়ত রাতে গরীবে নেওয়াজ অ্যাভিনিউ সড়কে মারামারি ও মাতলামির ঘটনা ঘটে। কিন্তু আশপাশে পুলিশ থাকলেও তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের পাহারা দেয়। বিনিময়ে পুলিশ হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের ঘুষ।
হামলার বিষয়ে কিং ফিশার বারের ম্যানেজার ফরহাদ বলেন, বারের মধ্যে আসা কাস্টমারদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তাদের শান্ত করা হয়। পরবর্তীতে একটি গ্রুপের লোকজন বাইরে থেকে তিন-চারটি লেগুনায় আরও লোকজন নিয়ে এসে বারের নিচ তলায় থাকা ফুলের টব, ফার্নিচার ও বাইরে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে পারমিশন আছে, আমরা তাদের কাছেই মদ বিক্রি করি। অপ্রাপ্তবয়স্ক কাউকে ঢুকতে দেই না।’
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই নিয়াজ মোহাম্মদ শরীফ দুর্নীতি রিপোর্ট ২৪.কমকে বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে কিং ফিশার বারে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।’